গল্পঃ কে সে?

7 months ago - Updated


হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনে, বাড়ির সবাই দৌড়ে আসে রিয়াজের রুমে। রিয়াজের রুমে আসতে সবাই বেশ চমকে যায়। রিয়াজ ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আছে।

  রিয়াজকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে থাকতে দেখে সবাই বেশ আতঙ্ক হয়ে যায়। যে রিয়াজ সবসময় হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকতো, সে রিয়াজ হঠাৎ করে ফাঁসি দিবে কেন। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ হাজির হয়ে যায়। রিয়াজের কোন চিঠি ও দেখতে পায়নি কেও।তার আত্মহত্যার, কোন কারণও জানেনা কেও।এরমধ্যে রিয়াজের ফ্রেন্ডসার্কেলের সবাই, রিয়াজের লাশ দেখতে আসে। পুলিশ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান তুহিন এই কেস হাতে নেয়। তিনি এই কেসের তদন্ত চালিয়ে যায়। থানার মধ্যে রিয়াজের ফ্রেন্ড রকি, রনি, রবি এবং জিলানীকে ডাকা হয়। ওরা পুলিশের কাছে কি আর উত্তর দিবে, তারা কান্নাই থামাতে পারছে না। রিয়াজ তাদের অনেক কাছের বন্ধু ছিল। হঠাৎ এই ভাবে ফাঁসি দেওয়ার কারণ তাদের কাছে একটা রহস্য। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়, সেখান থেকে হঠাৎ রকি এক দৌড় দেয়। ইন্সপেক্টর মশিউর এবার সবাইকে সন্দেহ করে ফেলে। রিয়াজের মৃত্যুর পিছনে হয়তো এদের কোন হাত আছে। কিছু দারোগা রকিকে তাড়া করতে লাগলো।এর মধ্যে রকি দৌড়ে গিয়ে, মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটি ট্রাকের নিচে এক্সিডেন্ট করে।
 
 না, এইটা এক্সিডেন্ট না, এইটা আত্মহত্যা। রকি ইচ্ছে করেই ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। ব্যাপারটা এখন আরো বেশি রহস্যময় হয়ে গেলো। রিয়াজের ফাসি কি সত্যিই আত্মহত্যা? নাকি খুন? ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত করার জন্য ইন্সপেক্টর মশিউর রিয়াজের সব ফ্রেন্ড সার্কেলকে জেলে আটকিয়ে রাখে। তাও একজন একটু আগে আত্মহত্যা করে ফেলল। ব্যাপারটা আরো গভীর হয়ে গেছে। ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, রিয়াজের বাকি যে ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল, তাদেরকে জেলে বন্দি করার কারণ, তাদের থেকে একজন যেহেতু আত্মহত্যা করেছে,তাহলে বাকিরাও এর পিছনে অবশ্যই আছে। তাদের থেকে যদি কোনো সূত্র পাওয়া যায়। এই আশাবাদী ইন্সপেক্টর মশিউর। 
 
অন্যদিকে রিয়াজের মা-- বাবা বাড়িতে বেশ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। রিয়াজের আত্মীয়-স্বজনরা রিয়াজকে দেখতেও আসেনি। তারা বলে" সে আত্মহত্যা করেছে কেন, যে নিজে থেকে আত্মহত্যা করেছে, তার লাশ দেখতে গেলেও খারাপ""।
 কিন্তু থানায় কেস টা আরো গভীর হওয়ার কারণে রিয়াজের লাশ পরক্ষণে আর কবর দিতে দেয়নি ইন্সপেক্টর মশিউর। রিয়াজকে আবার নিয়ে আসে হসপিটালে। আবার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চেক করে দেখবে, রিয়াজের শরীরে কোন ক্ষত স্থান কিংবা অন্য কিছু আছে কিনা। পরেরদিন রিপোর্ট আসবে ভেবে পুলিশ প্রথম দিন অপেক্ষা করে। 
 
রাত তখন ১২:০০ টা নাগাত হবে। মর্গের দারোয়ান, মানে যে লাশগুলোকে দেখাশোনা করে। তিনি বারোটার সময় দরজা বন্ধ করার জন্য মর্গে আসে। আসার পর হঠাৎ খেয়াল করলো মর্গের ভেতর একটা খচখচ শব্দ হচ্ছে। এনাম সাহেব ভাবল, এইটা কিসের শব্দ? একটু সন্দেহ করলেন এনাম সাহেব।হয়তো কেউ লাশ চুরি করার জন্য এসেছে মর্গে।তিনি লাইট মারতে মারতে একটু সামনে আসে, হঠাৎ খেয়াল করলো রিয়াজের লাশ ধরফর করতে লাগলো।এনাম সাহেব বেশ ভয় পেয়ে যায়। অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সেদিকে। ভয়ে তার হাতের মধ্যে লাইট টাও যেন কাপতে কাপতে পড়ে যাওয়ার অবস্তা। এমন সময় খেয়াল করলো রিয়াজের লাশ শোয়া থেকে জায়গায় বসে যায়। এমন অবস্থা দেখে এনাম সাহেব সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরের দিন সকালে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে, এনাম সাহেব কাল রাতের ঘটনাটি পুলিশকে বলেন। ব্যাপারটা হাস্যকর। একটা লাশ কিভাবে শোয়া থেকে বসে যেতে পারে। আবার সকালে সবাই দেখে, লাশটি যেমন ভাবে রাখা হয়েছিল, ঠিক তেমন ভাবেই শুয়ে আছে। এখানে দারোয়ান কি মিথ্যা কথা বলছে? নাকি অন্যকিছু সত্যিই এর মধ্যে আছে। এমন সময় ইন্সপেক্টর মশিউর রহমানের ফোনের মধ্যে একটা ফোন আসে। মশিউর রহমান ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে দারোগার কন্ঠ ভেসে আসে।)
 
-- হ্যালো স্যার...? 
 
-- জ্বী বলেন, কি হয়েছে। 
 
--স্যার, গতকাল যে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে, নাম রিয়াজ.. আপনি তো তাদের ফ্রেন্ড সার্কেলদেরকে জেলের মধ্যে আটকে রেখেছেন। তাদের মধ্যে একজন নিজে নিজের মাথা দেওয়ালের মধ্যে ঠুকে মারা গেছে। 
 
--কি বলছেন কি এসব। দাঁড়ান, আমি এক্ষুনি আসছি।
 
( মশিউর রহমান তাড়াতাড়ি থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়। গিয়ে দেখে, সত্যিই একজন দেওয়ালের সাথে নিজের মাথা নিজে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। মশিউর রহমান এখন আরো বেশি কনফিউজড হয়ে যায়। এইটা কি হচ্ছে, একজনের পর একজন এভাবে আত্মহত্যা কেন করছে। মশিউর রহমান বাকিদের বলল) 
 
--তোমরাও কি আত্মহত্যা করবে?
 
-- না স্যার, আমরা আত্মহত্যা করব কেন? আর যারা বা আত্মহত্যা করেছে, তারা কেন আত্মহত্যা করেছে, আমাদের সেটা অজানা। 
 
--কিন্তু তোমাদের কাছে একটা সূত্র আছে। বলো, সে সূত্র কি। কি জন্য তারা এভাবে আত্মহত্যা করছে। এর কারণ কি।
 
-- জানিনা
 
-- তোমরা অবশ্যই জানো, তোমরা ওর বন্ধু। তোমাদের কাছে রিয়াজ সবকিছুই শেয়ার করেছে,আবার হতে পারে তোমরাও এর সঙ্গে জড়িত আছো। বলো কী হয়েছে।
 
-- স্যার, আমরা কিছুই জানিনা। আমাদেরকে শুধু শুধু আটকে রেখেছেন।
 
-- ও আচ্ছা! সোজা কোথায় দেখি কাজ হবে না। তাহলে শোনো, এখানে কেসটা কি রকম হবে জানো? তোমাদের সাথের যে আত্মহত্যা করেছে, সে আত্মহত্যা করেনি, তোমরা তাকে ধরে মাথা ফাটিয়ে মেরে ফেলেছো।ওর খুনি তোমরাই। এখন বলো।সত্যটা বলবে,নাকি ফাসিতে ঝুলবে।
 
-- স্যার, আপনার যেভাবে ইচ্ছে আপনি সেভাবে করুন। যদি আমাদেরকে তার খুনি বানাতে চান, তাহলে সেটা আপনার অভিরুচি। এতে যদি আমাদের ফাসিই হয়। আমরা ফাঁসির মঞ্চে উঠতে রাজি আছি। আমরা প্রস্তুত। আপনার যা করার আপনি করুন। 
 
(মশিউর রহমান এবার অনেক রেগে যায়। তিনি হাতের মধ্যে একটি ডান্ডা নিয়ে অনেকক্ষণ পিঠাপিঠি করে রনি এবং রবিকে।
 জিলানীর এভাবে মৃত্যুটা অস্বাভাবিক। সে নিজের মাথা নিজে কেন আঘাত করে আত্মহত্যা করবে। মশিউর রহমান কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। এরপর তিনি রিয়াজের কলেজে চলে যায় তদন্ত বের করতে। সেখানে গিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করে রিয়াজের ব্যাপারে। কিন্তু সবাই একই কথা বলতেছে, ""রিয়াজ তো আমাদের সাথে সব সময় হাসি ঠাট্টা করত। সবসময় মজা করত।আমাদের অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু হঠাৎ আত্মহত্যার কারণ কেউই বুঝতে পারছে না। সে আত্মহত্যা করেছে, আবার ওদিকে জেলের মধ্যে জিলানী এবং রকি কেন আত্মহত্যা করেছে, সেটাও রহস্য ""
 ব্যাপারটা রিয়াজের কলেজের সবার কাছে অস্বাভাবিক।
 
 রিয়াজ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। কলেজে সব সময় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে অনেক মজা করত। ক্লাসের মধ্যে ফাঁকিবাজ থাকলে একমাত্র রিয়াজ ছিলো। ক্লাস চলাকালীন সে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেত। স্যার যদি কিছু বলতো, তাহলে স্যারের মুখের উপর বানিয়ে বানিয়ে কিছু জোক্স বলে, সে হেসে উড়িয়ে দিতো। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে এইটা নিয়ে অনেক রিপোর্ট গিয়েছে, কিন্তু রিয়াজের মা-- বাবা বারবার এসে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। রিয়াজ যতই ফাকিবাজ ছিলোনা কেন,সবার সাথে মজা করতো বলে একদিকে সবার প্রিয়ও ছিলো।স্যাররা তাকে ভালো পথে আনতে চাইতো ঠিকই।কিন্তু যে কোন আয়োজনে, সবসময়ই রিয়াজ থাকতো অধিনায়ক। 
 
এর মধ্যে রিয়াজের একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল। মেয়েটি দেখতে অনেক মায়াবী। ওর চেহারার দিকে একবার যে তাকায়, সে আর চোখ ফেরাতে পারেনা। চোখ গুলো যেমন হরিণীর মতো, তেমনি ওর চলাফেরাও খুবই নরমাল।ওর লাইফে রিয়াজ আসার পর থেকে মেয়েটি একটু ছনছল হয়েছিলো বটে। মেয়েটির নামটিও অনেক মায়াবী। ওর নাম "মায়া "।
নামের সাথে তার চেহারার অনেক মিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রিয়াজ সব সময় বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় দিত। এরপর মায়াকে নিয়ে কোথাও যেন ঘুরতে যেত। সেখান থেকে ফিরতো সন্ধ্যায়। আবার কোনদিন রাত ৭-৮ টাও বেজে যেতো। 
 এর মধ্যেই চলছিল রিয়াজের জীবন। তারা এই ভাবেই দিন কাটাচ্ছিল। আর রিয়াজ এবং মায়ার মধ্যে তো কোনো ঝগড়াঝাটি ছিলনা। কলেজে সবার থেকে তাদের জোড়াটা আলাদা ছিল। তাদের জোড়াটা সবার থেকে বেশি আকর্ষণ করত। তো গার্লফ্রেন্ড নিয়েও রিয়াজ সুখে ছিল। এদিকে বন্ধু-বান্ধবের সাথে সব সময় হাসি ঠাট্টাইয় মেতে থাকতো। তাহলে তার আত্মহত্যার কারণ কি হতে পারে।
 
 এই তথ্যটা মশিউর রহমান কলেজের সবার থেকে নেয়। তার মানে রিয়াজের কোন কিছুর কমতি ছিলনা। আত্মহত্যা কেন করল সে? মশিউর রহমান আবার থানায় ফিরে যায়। থানায় ফিরে গিয়ে আবার রবি এবং রনিকে জিজ্ঞাসা করলো) 
 
--দেখো, আমি তোমাদেরকে ঠান্ডায় মাথা জিজ্ঞেস করতেছি। আমি মানলাম তোমাদের কোন দোষ নেই। তোমরা কোন কিছুই করোনি। কিন্তু তোমরা রিয়াজের ব্যাপারটা নিয়ে অল্প হলেও কিছু জানো। কি সে ব্যাপারটা?
 
-- স্যার, আমরা সত্যি বলছি। আমরা কিছুই জানিনা। আর রিয়াজ কেন ফাঁসি দিয়েছে,রকি কেন ট্রাকের নিচে পড়ে মারা গেছে, জিলানী কেন নিজের মাথা নিজে দেওয়ালে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর কোন কারণই জানিনা। কেন আপনি আমাদেরকে বারবার এই একই প্রশ্ন করছেন।
 
-- দেখো, তোমরা এবার আমার মাথা পুরা খারাপ করে দিচ্ছো। একটা তো রহস্য আছে এর পিছনে। একজনের মৃত্যু হতো,তাহলে সেরকম কোনো ব্যাপার থাকতো না। তার ওপর আরেকজন আত্মহত্যা করেছে, এর পিছনে আরেকজন। ৩ টা মানুষ মরেছে, তাও অদ্ভুত ভাবে। রবি, রনি তোমরা কি বুঝতে পারছ ব্যপারটা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে...? এখানে একটা রহস্য আছে। কি সেই রহস্য?  
 
-- দেখুন? আপনি যতই আমাদেরকে রাগ দেখান, আর যতই আমাদের উপর টর্চার করেন। আমাদের কোন উত্তর নেই। আমাদের যেটা বলার, সেটা আমরা আপনাকে বলে দিয়েছি। এর উপর আমরা আর কিছুই জানি না। সো আমাদের আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।কারণ শুধু শুধু জিজ্ঞেসা করে কি লাভ,যেখানে আমরাই কিছু জানিনা। 
 
-- তোদেরকে তো আমি আর বুঝাতে পারব না... 
 
( এই বলে মশিউর রহমান হাতের মধ্যে একটা লাঠি নিয়ে রবি এবং রনিকে ইচ্ছামত মারতে লাগল জেলের ভিতর। তারা লাঠির আঘাতে অনেক জোরে জোরে চিৎকার করলেও, তাদের থেকে কোন উত্তর পেলনা মশিউর রহমান। তিনি মারতে মারতে নিজেই হয়রান হয়ে গেছে। তবুও তাদের থেকে কোন কথা বের করতে পারেনি।লাঠি মাটিতে ফেলে রাগ করা অবস্তায় মশিউর রহমান ফিরে যায় বাসায়। আসার পর দারোগাকে ফোন দিয়ে রবি এবং রনিকে ছেড়ে দেয়। কারণ তিনি খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। এদের থেকে কোন তথ্য পাওয়া যাবে না। 
 
রবি বাসার দিকে যাচ্ছে। শরীরের মধ্যে মশিউর রহমানের লাঠির বাড়ি এখনো ফুলে আছে। অনেক কষ্ট করে সে বাসা পর্যন্ত পৌঁছায়। বাড়িতে গিয়ে রবির আব্বু আম্মুকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রবি। ওর আম্মুও কান্না জুড়ে দেয়।ছেলেটাকে তারা পশুর মতো আঘাত করেছে।এর মধ্যে পুলিশ কয়েকটা গালাগাল শুনেছে রবির আম্মুর মুখ থেকে। রবির আম্মু -আব্বু তাদের ছেলেকে সেবা যত্ন করতে থাকেন।সত্যি, অনেকটাই দাগ বসে গেছে রবির শরীরে। 
 
  অন্যদিকে রনিরও একই অবস্থা। কারণ মশিউর রহমান তাদের ছাড়ার সময় কারো বাসায় জানায়নি। তাই কেউ থানায় তাদেরকে নিতেও আসতে পারেনি। এদিকে রবি- রনি বাসায় গিয়ে হটাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ১৫ দিন তারা বিছানা থেকে উঠতে পারেনি।তবে সূত্র একটা এসে গেছে।কিছুদিন পর বের হয়ে এলো এক অজানা রহস্য........ 
 
চলবে.........................................
 
গল্প- #কে_সে ( পর্ব-০১)
 
 
( যদি বানান বা অন্য কিছুতে ভূল থাকে,তবে প্লিজ ধরিয়ে দিবেন।এতে আরো সতর্ক হয়ে লিখতে পারবো।পরের রহস্যময় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। জানাবেন কেমন হচ্ছে।

4 Views

Comments (0)

Please sign in to comment.
Writer
Asif
Articles in this section