২০২৪ সালের ৫ জুন, বাংলাদেশের হাইকোর্ট একটি বিতর্কিত কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দেন, যা ২০১৮ সালে সরকার কর্তৃক বাতিল করা হয়েছিল। আদালত কোটা ব্যবস্থা বাতিলকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, যা দেশব্যাপী ছাত্রদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভের সঞ্চার করে। এই ঘটনাটি পরবর্তী দিন, ৬ জুন, ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়, যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে।
প্রতিবাদের সূচনা
৬ জুনের আন্দোলনে ছাত্ররা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে, যা তারা একটি অসার এবং অগ্রগতিহীন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে। প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ হলেও, পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের 'রাজাকার' হিসেবে অভিহিত করেন, যা আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরো রোষ সৃষ্টি করে। এর ফলে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা বাড়তে থাকে, যার ফলে অনেক ছাত্র আহত হয় এবং কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
সহমর্মিতা ও সমর্থন
৬ জুনের বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাত্রদের মধ্যে সমর্থন বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা আন্দোলনে যোগ দেয়, যা আন্দোলনকে একটি বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা হিসেবে পরিণত করে। ছাত্ররা মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পুনর্বহাল এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানাতে থাকে, যা সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে। ৭ জুনের দিকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন ছাত্রলীগের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়।
উপসংহার
৬ জুন, ২০২৪, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এটি কোটা সমস্যার বাইরেও বৃহত্তর সরকারি নীতিমালার বিরুদ্ধে এক সামাজিক আলোচনায় পরিণত হয়। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবিগুলির সঙ্গে সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করতে সক্ষম হয়, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক প্রভাব
Comments (0)